Pratappur Darbar Sharif
তিনি বলেছেন অসহায় মানুষের প্রতি কোন দ্বীন নেই। যে ব্যক্তি এই জীবনকে অদম্য সত্যকে উপলব্ধি করার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছে, সেই ব্যক্তির পক্ষে সত্য ও ন্যায়সঙ্গত তাঁর জীবনের যাত্রার সংস্থান যিনি আমাদের উত্সের সহচর হিসাবে, প্রতাপ পুরের দরবার শরীফের পীর জিনবা আলী আল্লাহ দা রাশুল, আলমমা আলহাজ্ব সৈয়দ খালিদ আলী আল হুসানীসাহেব। তাকে অনেক সম্মানের ASISO ‘আব্বা হুজুর’ বলে ডাকে। সৈয়দ খালিদ আলী আল হুসানী সাহেব একজন আধ্যাত্মিক মানুষ এবং একটি সৃষ্টিশক্তি হিসাবে পাশাপাশি এক দয়াবান এবং মমতাময়ী ব্যক্তি। লোকেরা যখন লুন্ঠনে পড়েছিল তখন তাঁর হৃদয় দুঃখের সাথে ভরে উঠল, সে যত কিছু করতে পারে তত চেষ্টা করে। অসহায় মানুষকে সহায়তার জন্য তিনি কিছু নতুন উপায় আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন। তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন, যাতে পৃথিবীতে ও তাদের পরবর্তী জীবন সুখী ও ধন্য হয়। খালিদ আলী আল হুসানী সাহেবের দ্বারা এই মানবসমাজের ঐতিহ্য শুরু হয়নি।এটি বংশগত, তিনি এবং তার বোনরা নৈতিকভাবে একজন গর্বিত পরোপকারী, দেশপ্রেমিক, অন্তরে শুদ্ধ এবং আধ্যাত্মিকতা তাদের কাছে স্বাভাবিকভাবে আসে। এটি সত্য এবং শুরুতে তাদের পরিবার গাছ তৈরী করে।
প্রতাপ পুরের হুজুর সৈয়দ খালিদ আলী আল হুসানী সাহেবের পিতামহ, যিনি হযরত ইস্তেহাবাব আলী কুদিশ সাসুররাহু যাকে এই অঞ্চলের লোকেরা খুব পছন্দ করে ‘khoka miya’ বলে ডাকত। তিনি এই অঞ্চলের একজন বিখ্যাত ডাক্তার ছিলেন। লোকেরা তার নিখরচায় চিকিত্সার জন্য দুরত্ব ভ্রমণ করেছে। তিনি এত জনপ্রিয় এবং এত ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছিলেন যে তিনি ইউনিয়ন বোর্ডের সভাপতি ছিলেন এবং স্থানীয় বাস স্টপ তার নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছিল।দাদুর দ্বারা প্রবর্তিত oi
ঐতিহ্যটি প্রতাপ পুরে দরবার শরীফে তাঁর দিন অবধি অব্যাহত রয়েছে। লোকেরা দূর থেকে হুজুরের দিকে আসেন। তারা তাদের অসুস্থতার কথা জানায় হুজুর তাদের খুব শ্রদ্ধার সাথে শোনেন। কখনও তিনি তাদেরকে আশীর্বাদ দিতেন, কখনও কখনও তাবিজ এবং কখনও কখনও তিনি তাদেরকে আধুনিক ডাক্তারের সাথে দেখা করার পরামর্শ দেন, তবে এটি কেবল পীরের দরবার, এর অর্থ এই নয় যে কেবলমাত্র মুসলমানরা এই স্থানগুলিতে যান, অন্য পর্যায়ের অগভীর নাগরিকরাও এখানে আসেন মহান বিশ্বাস এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে ।
Hazrat Dewanji Huzoor Rehamatulla Hazrat Ali , Hazrat Ali Fatema র বংশধারায় ৩৬তম নিম্নতম পুরুষ, কিভাবে এই বাংলার মাটিতে এসে উপস্থিত হলেন Dewan Saheb এবং তার পরিবারের লোকেরা। আলী ফাতেমার বংশধারায় যারা জন্মেছিলেন তারা ধীরে ধীরে আরব এর মূল ভূখণ্ড থেকে সরে চলে আসেন। প্রথম অবস্থায় ইরাকে সেখান থেকে ইরানে পরবর্তী কালে মধ্যপ্রাচ্যে এবং সর্বশেষ কেউ কেউ ভারতেও এসে উপস্থিত হয়েছেন। ঠিক এই ধরনের ই একটি শাখার সন্তান ছিলেন Hazrat Dewanji Huzoor Rehamatulla Hazrat Ali। আলী ফাতেমার বংশধারায় প্রথম ১৩ পুরুষ পর্যন্ত তারা Madina এবং Baghdad এ জীবনযাপন করেছেন । পরবর্তীকালে Jalaluddin Rehamatulla Alaihe যখন 1258 খ্রিষ্টাব্দে যখন মঙ্গল কে আক্রমণ করলো, Baghdad কে যখন ছিন্নভিন্ন করে দিলো, শেষ আব্বাসী খলিফাও নিহত হলেন তাদের হাতে। এরপর 1280 খ্রিষ্টাব্দে Dewanji Huzoor এর উর্ধতম 12 পুরুষ Hazarat jalauddin Rehmatulla Alaihe bukhara তাগ করে ভারতবর্ষের দিকে আসতে থাকেন। তারা এসে প্রথমেই প্রবেশ করলেন Lahore এ, Lahore এ এসে বসবাস করলেন Data Ganja Box Lahori যিনি আলী হুযূরের ই নামে বিখ্যাত। তার মাজার শরীফ এ এসে স্থাণ নিলেন , ওই খানে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বসবাস শুরু করলেন। 3 মাস ধরে murah khaba musah hetha অর্থাৎ গভীর তপস্যায় ধ্যানে মগ্ন হলেন। 3 মাস ওখানে থাকার পর Sikander Shah Rehmatullah Alaihe। 1560 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ Delhi তে এসে উপস্থিত হলেন। তিনি Delhi তেই জীবনের বাকি অংশটা অতিবাহিত করেন , তার সন্তান Badruddin Rehmatullah Alaihe, Badruddin যখন যুবক সেই সময় শাহ জাহানের mughol Dorbar এর সঙ্গে এদের একটা সম্পর্ক ছিল। শাহ জাহান badruddin কে অনুরোধ করলেন বাংলার মাটিতে এসে ইসলাম র প্রচার করার জন্য। সম্মত হলেন সম্রাট শাহ জাহান এর এই প্রস্তাবে। শাহ জাহান তাকে প্রেরণ করলেন কোথায়? মেদিনীপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রাম Baranga Bazar। Bagruddin Alaihe র হাতে একটি সনদ দিলেন , সেই সনদে তিনি Baranga Bazar র কাজী সাহেব Bahauddin Rehmatullah Alaihe কে নির্দেশ দিলেন যে, সম্রাট এই আরোহী যুবককে পাঠাচ্ছেন আপনার কাছে ইনি সৈয়দ বংশিও quran এবং Hadish এ জ্ঞানী, Fikah শাস্ত্রে জ্ঞানী মানুষ, একে Shahi Madrasa তে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে পাঠানো হচ্ছে ,আপনি একে যথাযত মর্যাদায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক পদে নিয়োগ করবেন, এটাই সম্রাটের নির্দেশ এবং কাজী মহল্লার শহী মাদ্রাসাতে quran এবং hadish এর শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিয়োগ করলেন। বেশ কয়েক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর , badruddin কাজী মহল্লায় পা দেওয়ার পরে, কাজী সাহেব তার নিজের ছেলে Maulana Abdul Jabbar, সেই সন্তানের লেখাপড়ার ভার ও bagruddin র হাতে দিলেন। এখানে কিছু দিন লেখাপড়া শেখাতে শেখাতে bagruddin র সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে, তার নম্র ভদ্র ব্যাবহার, তার জ্ঞানের গভীরতা মানুষকে মোহিত করেছে। কাজী bahauddin alaihe ও মুগ্ধ হলেন। Bahauddin এর একমাত্র কন্যা, তিনি বয়সপ্রাপ্ত হয়েছেন, bahauddin এর ইচ্ছে badruddin র সঙ্গে তার কন্ন্যার বিয়ে দেবেন। Bahauddin নিজ স্ত্রী এবং সন্তান jabbar,যিনি তখন যৌবনপ্রাপ্ত হয়েছেন তার সঙ্গে আলোচনা করলেন যে তার মেয়ের বিয়ে উনি bagruddin র সঙ্গে দিতে চান। Badruddin তিন দিন সময়ে চাইলেন তাই উত্তর দেওয়ার জন্য। তারপর তিনি বললেন যে, হ্যাঁ আমি আপনার মেয়েকে বিবাহ করতে সম্মত আছি। প্রতাপ পুরের বুকে একটি নবী পরিবারের বংসস্থাপন হলো। Badruddin র চারজন সন্তান ছিলেন, তার মধ্যে Dewanji huzooor মধ্যম সন্তান। Dewanji Huzoor র ১৭ বছর বয়সে Badruddin তাকে নিজেদের প্রাচীনভূমি Bokhara তে প্রেরণ করলেন। ওখানে ৮ বছর পড়াশোনা করার পর তিনি ওখান থেকে না ফিরে মক্কা শরীফে গমন করেন হজ্জ ক্রিয়া সম্পাদন করার জন্য। মক্কায় হজ্ব ক্রিয়া সম্পাদন করে ২৮ বছর বয়সকালে মদিনায় সরফ শেষ করে মাঝার jiarat করে তিনি ভারতবর্ষে ফেরেন। Dewanji Huzoor র আব্বা মা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলেন এবং সম্মত হলেন Dewanji huzooor র সঙ্গে abdul jabbar র কন্যার বিবাহ দেওয়ার। বিবাহের পর Dewanji বললেন আমি কাজী মহল্লায় থাকবনা, নদীর ওপারে গিয়ে বসবাস স্থাপন করব।
উনি একদম সাধারণ জীবনযাপন করতেন, মাটির বাড়ি আর খড়ের চালে বসবাস করতেন। উনি 1730 সালে দেহত্যাগ করেছেন ।
Syed Iste Hebab Ali, সবই তাকে ডক্টর ‘khoka miya’ বলে জানত। তার বাবা যিনি ছিলেন তিনিও ডাক্তার ছিলেন, ঘোড়ায় চেপে ডাক্তারি করতে যেতেন। ছেলে compunder ছিলেন র বাবা ডক্টর ছিলেন । মানুষের সমাজসেবার জন্য ডাক্তারি করতেন, প্রশংসার জন্য নয় । যখন দেখতেন Patient এর কাছে টাকা নেই তখন তিনি টাকা দিয়ে তাদের সাহায্য করতেন। তিনি সাধক ছিলেন । রাতে 2:৩০- ৩:০০ তে উঠে সাধনায় বসতেন, আবার সকাল 7 তাতে বেরোতেন ডাক্তারির জন্য।